[PDF Download link: English | Bengali ]

International Crimes Strategy Forum (ICSF) condemns the press note dated April 8, 2016 by Ms. Ravina Shamdasani, spokesperson of the United Nations High Commissioner for Human Rights (OHCHR), where concern was expressed over the death penalties passed by the Appellate Division of the Supreme Court of Bangladesh on Motiur Rahman Nizami and Mir Quasem Ali.

The OHCHR ‘press note’ gives an inaccurate portrayal as it severely erred in accusing Bangladesh of not abiding by the fair trial obligations imposed by the International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR). Whereas, the ICT-BD has so far consistently adhered to fair trial attributes enshrined in the ICCPR, Article 14. ICSF maintains that the UN’s purported position that it opposes the death penalty in all circumstances notwithstanding adherence to the strongest fair trial standards and the gravity of any given crime is inconsistent with its previous position on this issue expressed in the recent past. Such a stance is also a blatant distortion of existing jurisprudence of international human rights law as articulated in Article 6(2) of the ICCPR.

ICSF believes that the United Nations should stand by and endorse the International Crimes Tribunal, Bangladesh (ICT-BD). More importantly, the organisation should not be seen to undermine the only justice process that is addressing impunity on behalf of the millions of victims of international crimes from the Bangladesh Liberation War of 1971.

ICSF would like to point out that the UN itself is historically responsible for failing to act against the genocide which was perpetrated in Bangladesh in 1971 against the unarmed civil population at the hands of the Pakistan Army and their local collaborators. In recent times too, the UN’s role has been disappointing to say the least. It refused to offer any technical assistance actively sought by the Government of Bangladesh in 2009 prior to the setting up of the ICT-BD. OHCHR cannot be oblivious to the facts, as now known from various published reports, that such an unprincipled refusal to assist ICT-BD was indeed a politically motivated decision on the organisation’s part that resulted from lobbying led by Pakistan, the country where all the alleged key perpetrators of international crimes were from.

ICSF therefore calls on the OHCHR to withdraw the said press note. ICSF reiterates that the UN needs to constructively engage with the GoB, the ICT-BD, and other rights based groups (such as ICSF and others) that represent the victims of the 1971 genocide and have been campaigning for justice.

Furthermore, the UN is morally and legally obligated to provide technical and diplomatic assistance to the Government of Bangladesh so that it can carry out its mandate to try the ‘untried’ Pakistani perpetrators of core international crimes. ICSF demands that the UN, first and foremost, makes clear its position on this matter, which till now has been, at the very best, unclear. The UN is already due in recognizing that the 1971 genocides was one of the worst in the world from the 20th century.

=======================================================

১৯৭১ এর গণহত্যার বিরুদ্ধে একমাত্র বিচার প্রক্রিয়া হল ট্রাইব্যুনাল: জাতিসংঘের উচিত এর পাশে দাঁড়ানো

গত ৮ এপ্রিল ২০১৬ জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই-কমিশন (“হাই কমিশন) এর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ দ্বারা মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তকৃত যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী এবং মীর কাশেম আলীর দন্ডাদেশের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) জাতিসংঘের এই বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

হাই-কমিশনের এই বিভ্রান্তিকর বিবৃতিটিতে দাবী করা হয় – এই দুই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে নাকি জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের সনদ (আইসিসিপিআর)-এ বিধৃত বিচারের মানদন্ড অনুসরণ করা হয়নি। হাই-কমিশনের এই দাবীটি সত্য নয়, কারণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩ এবং ট্রাইব্যুনালের কার্যবিধিই অনুসরণ করা হয়েছে এই দুই অপরাধীর ক্ষেত্রে, যা কার্যত আইসিসিপিআর-এ বিধৃত কথিত সে মানদন্ডেরই প্রতিফলন। হাই-কমিশনের বিবৃতিতে ‘সকল পরিস্থিতিতে মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধাবস্থান’ ব্যক্ত করা হয়েছে, এমনকি ‘বিচারের সর্বোচ্চ মানদন্ড অনুসরণ করা হয়ে থাকলেও’। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই-কমিশন এর এই কথিত অবস্থান শুধু অসত্য ও বিভ্রান্তিকরই নয়, তা জাতিসংঘের নিজেরই বিধৃত মানবাধিকার আইনের সাথেই অসঙ্গতিপূর্ণ। কারণ, আইসিসিপিআর এর অনুচ্ছেদ ৬(২)-তে এর ঠিক বিপরীত অবস্থানই ব্যক্ত করা রয়েছে।

আইসিএসএফ মনে করে জাতিসংঘের উচিত সর্বতোভাবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই বিচার প্রক্রিয়ার পাশে দাঁড়ানো। কারণ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘঠিত গণহত্যাসহ অন্যান্য অপরাধগুলোকে ঘিরে চার দশকের যে বিচারহীনতা তার মোকাবিলায় বর্তমান পৃথিবীতে এই ট্রাইব্যুনালই একমাত্র বিচার প্রক্রিয়া।

সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আইসিএসএফ এটাও মনে করিয়ে দিতে চায় যে – ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসর জামায়াতে ইসলামী-রাজাকার-আলবদর-আলশামসরা মিলে ভয়াবহ আন্তর্জাতিক অপরাধে লিপ্ত ছিল স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে – তখন এই জাতিসংঘ ছিল নিরব এবং নিষ্ক্রিয়। এর পর চার দশকেও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি জাতিসংঘের দিক থেকে। অবশেষে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের উদ্যোগ নেয়া হল, এমনকি তখনও পাকিস্তানের অনৈতিক লবিইং এর কাছে নতি স্বীকার করে জাতিসংঘ বাংলাদেশের এই বিচার প্রক্রিয়াকে শুধু পরিত্যাগই করেনি, সব ধরণের কারিগরি ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানেরও বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটি। উল্লেখ্য, এর সবই ঘটেছে ট্রাইব্যুনালে এমনকি প্রথম মামলাটিও শুরু হওয়ার অনেক আগেই।

তাই আইসিএসএফ এর পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই-কমিশনকে আহ্বান জানানো হচ্ছে তাদের এই আপত্তিকর বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য। সেই সাথে আহ্বান জানানো হচ্ছে এই বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তাকল্পে জাতিসংঘ যেন বাংলাদেশের সরকার, ট্রাইব্যুনাল, এবং ১৯৭১ এর ভিকটিমদের পক্ষে সক্রিয় নাগরিক সংগঠনগুলোর (যেমন: আইসিএসএফ) সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে – যাতে করে পলাতক অপরাধীদেরও (যেমন: পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী) বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়। আইসিএসএফ মনে করে এটি জাতিসংঘের নৈতিক এবং আইনগত দায়িত্ব এবং ম্যানডেটেরই অংশ।

সবশেষে, আইসিএসএফ এর পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হচ্ছে – প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের গণহত্যাকে সুস্পষ্টভাবে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে গত শতাব্দীর ভয়াবহ গণহত্যাগুলোর তালিকায় তা যেন আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়, এবং সে অনুযায়ী বিচারকার্যে সহায়তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।