[PDF Download link: English | Bengali ]
[Access to classified war archives of India — Engaging with international organisations, foreign governments — Genocide Risk Education — Sites preservation — Knowledge base development — Supporting citizen initiatives at home and abroad]
The 25th of March 1971 marked the beginning of a nine-month long genocide and other international crimes against the Bengali populace which was perpetrated by the Pakistan Army and its local auxiliaries. The adoption of the recent resolution of the Bangladesh Parliament commemorating 25th March as “Genocide Day” is, therefore, significant because it reinforces the findings of the justice process of the International Crimes Tribunal of Bangladesh (ICT-BD), sets a milestone in honouring the victims of international crimes in 1971, helps regional and international recognition of the Bangladesh Genocide, and instills a greater understanding of the mechanics of genocide in all its forms as a nation-building exercise which may serve as a preventive safeguard against repetition of such atrocities in the future.
International Crimes Strategy Forum (ICSF), an independent global network of experts and activists working in the interest of justice for the victims of international crimes has long campaigned for the recognition of the Bangladesh Genocide. ICSF welcomes the recent resolution of Bangladesh Parliament declaring 25th March as Genocide Day and reaffirms its commitment to stand by the victims and against the perpetrators of genocide, in particular, those who advocate for or is responsible for enacting genocide.
To commemorate the day, ICSF announces to intensify the “ICSF Global Campaign on Bangladesh Genocide”, its flagship campaign for recognition of the international crimes committed against Bengali populace in 1971. As part of this ongoing campaign, ICSF has started to publish in social networks commemorative video messages from victims and survivors, freedom fighters, activists and campaigners where participants shared their lessons and pledges regarding 1971 Genocide.
On this historically significant day, ICSF commends the Investigating Agency of the International Crimes Tribunals of Bangladesh (ICT-BD) for completing the investigation against the first military officer of the Pakistani Army who is alleged to have committed international crimes in Bangladesh in 1971. ICSF believes that this is the beginning of an accountability process that will hold responsible all Pakistani military personnel who took part in international crimes in 1971. ICSF demands that similar investigations be geared up so that other members of the Pakistan Army, whether living in Bangladesh, in Pakistan and elsewhere, may be brought to justice before the ICT-BD.
To facilitate the investigation of members of the Pakistan Army, ICSF calls on the Government of the Republic of India to disclose all records concerning the Liberation War of 1971. India, for obvious reasons, is in possession of vital documents pertaining to military operations led by the Pakistan Army that unleashed genocide on the people of Bangladesh. ICSF urges the Indian Government to follow the footsteps of the United States of America and others countries that have declassified a significant volume of documents relating to Bangladesh’s Liberation War. In this regard, ICSF calls upon the Government of Bangladesh to engage with the Government of India to secure these vital documents concerning genocide and international crimes.
ICSF calls on the Bangladesh Government to seriously consider the following seven-prong strategy as part of a broader roadmap towards achieving global recognition of Bangladesh genocide:
- Engaging with the Indian government regarding access to war-time military records;
- Actively engaging with the international organisations for acknowledgement of 1971 atrocities as genocide and international crimes;
- Engaging with other foreign governments and entities with shared, strategic, or mutually advantageous interests involving recognition of 1971 genocide;
- Implementing ‘genocide risk education’ in Bangladesh and making it part of the national educational curriculum;
- Preserving important sites relating to the Liberation War of 1971, and properly investing in their development and maintenance;
- Investing in steps for knowledge base development relating to 1971 history beginning with archiving and digitising documents and making them easily accessible;
- Extending support to citizens’ initiatives across the world relating to 1971;
Finally, ICSF takes this opportunity to remind the United Nations and other international bodies that they are yet to grant official recognition to the Bangladesh Genocide, and that it is their moral obligation to do so without any further delay.
—-Bengali translation—-
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির রোডম্যাপ: সরকারের প্রতি আইসিএসএফ এর ৭-দফা প্রস্তাব
[ভারতে সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়কার সকল গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র উন্মুক্তকরণ — ১৯৭১ এ সংঘটিত নৃশংসতাকে “গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ” হিসেবে স্বীকৃতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করা — ‘গণহত্যার ঝুঁকি সম্পর্কিত শিক্ষা’ — মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আঙ্গিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর সংরক্ষণ — মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন — মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও স্বীকৃতি সংক্রান্ত সকল নাগরিক উদ্যোগে সরকারের সহায়তা]
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার সহায়ক বাহিনীসমূহ বাংলাদেশের জনসাধারণের উপর ৯ মাস ব্যাপী গণহত্যা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের সূচনা করে। তাই সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ তারিখকে “গণহত্যা দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উঠে আসা প্রামাণ্য ইতিহাসিক সত্যেরই সংসদীয় স্বীকৃতি; ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের শিকার মানুষদের প্রতি সম্মানসূচক; বাংলাদেশে সংঘটিত ‘গণহত্যা’কে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী; এবং জাতি-গঠনের অংশ হিসেবে ‘গণহত্যা’র প্রক্রিয়াকে আরো গভীরভাবে উপলদ্ধির পথ করে দেয় যা ভবিষ্যতে এমন নৃশংসতার পূনরাবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) হল বিশেষজ্ঞ, সক্রিয় কর্মী, এবং বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, যা বিচারহীনতা নিরসন, ভিকটিমদের সুষ্ঠ বিচার নিশ্চিতকরণ, এবং বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের ২৫ মার্চ তারিখকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করার সিদ্ধান্তকে আইসিএসএফ স্বাগত জানাচ্ছে এবং গণহত্যার শিকার মানুষদের পক্ষে এবং গণহত্যাকারীদের বিপক্ষে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করছে।
এই দিনটিকে যথাযোগ্য সম্মানের সাথে পালনের লক্ষ্যে আইসিএসএফ তার “বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের বিশ্বব্যাপী কর্মসূচী”-কে আরও জোরদার করার ঘোষণা দিচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসাধারণের উপর চালানো গণহত্যার স্বীকৃতির জন্যে আইসিএসএফ-এর অন্যতম প্রধান কর্মকান্ড। এই কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে কিছু দিন আগে আইসিএসএফ সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষের কাছ থেকে স্মারক ভিডিও-বার্তা আহ্বান করে। সে আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষ যার মধ্যে রয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, সক্রিয় কর্মী, ও অন্যান্যরা। ‘একাত্তর সালের গণহত্যা থেকে আমরা কি শিক্ষা নিয়েছি’, এবং ‘গণহত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার কি হওয়া উচিত’ — সে বিষয়েই নিজ নিজ অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছেন দেশ বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ভিডিও-বার্তায়।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটিতে আইসিএসএফ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে প্রথম পাকিস্তান সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে ১৯৭১ এ সংঘটিত অপরাধের তদন্ত সম্পূর্ণ করার জন্য। আইসিএসএফ মনে করে এটি একটি অত্যন্ত জরুরী পদক্ষেপ যা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাকি অপরাধীদের জবাবদিহিতার ধারারও সূচনা করবে। এই মর্মে আইসিএসএফ এর দীর্ঘদিনের দাবী হল সকল পাকিস্তানী সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তকার্য আরো বেগবান করার, যাতে তাদের সবাইকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের আওতায় আনা যায়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেই সব সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তের স্বার্থে ভারতের কাছে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত যে সকল সামরিক দলিল ও নথিপত্র রয়েছে তা অবমুক্ত বা বাংলাদেশে আনয়ন করার উদ্যোগ নিতে গনপ্রজাতন্ত্রী ভারত সরকারের সাথে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনায় বসা প্রয়োজন বলে মনে করে আইসিএসএফ। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যে অনেক দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দলিলপত্র অবমুক্ত করেছে। ভারত সরকারের প্রতিও বহির্বিশ্বের সে সব নজির অনুসরণের বিনীত আহ্বান আইসিএসএফ-এর।
বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিলাভের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর রোডম্যাপ হিসেবে নিম্নলিখিত ৭-দফা কর্মপন্থা বিবেচনার বিনীত আহ্বান বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আইসিএসএফ এর:
- ১। ভারতে সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধকালীন সকল গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র সংগ্রেহের উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া;
- ২। ১৯৭১ এ বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংসতাকে “গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ” হিসেবে স্বীকৃতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ;
- ৩। একই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও সমমনা সংস্থার সাথে যথাযথ যোগাযোগ, আদানপ্রদান ও কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া
- ৪। ‘গণহত্যার ঝুঁকি সম্পর্কিত শিক্ষা’ বাস্তবায়ন করা এবং তা স্থায়ীভাবে জাতীয় শিক্ষা পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে সংযোজন;
- ৫। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান সংরক্ষণ করা এবং সেগুলোর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে বিনিয়োগ;
- ৬। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ করা, যার অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সকল দলিল সংরক্ষণ, ডিজিটাইজ, ও বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়ার পদক্ষেপগ্রহণ;
- ৭। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও গণহত্যার স্বীকৃতি সংক্রান্ত সকল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নাগরিক উদ্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান।
পরিশেষে, আইসিএসএফ জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিতে চায় যে তারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত নৃশংসতাকে “গণহত্যা” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে ব্যার্থ, যা প্রকৃত বিচারে তাদের নৈতিক কর্তব্য পালনেরই ব্যার্থতা।