গত জুলাই ২০২৪ থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত সকল সহিংস ঘটনাগুলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্রাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে এবং এ সংক্রান্ত সব ধরনের প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে আসছে। আইসিএসএফ এর এই তথ্য ও সাক্ষ্য সংগ্রহ উদ্যোগ (documentation) এর আওতায় পড়ছে গত জুলাই মাস থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সকল পক্ষের দিক থেকে সকল ধরনের সহিংস ও নৈরাজ্যমূলক ঘটনাবলির দলিলবদ্ধকরণ। কারণ, আইসিএসএফ মনে করে – ভবিষ্যতের যে কোনো আনুষ্ঠানিক ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ উদ্যোগকে সহায়তা বা পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়ার কোনও বিকল্প নেই।
আইসিএসএফ এর সেই কর্মুসূচীর অংশ হিসেবে এ পর্যায়ে আমরা এই ডকুমেন্টেশন/দলিলবদ্ধকরণ প্ল্যাটফর্মটির খবর বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই। যাতে দেশের প্রতিটি শহর, জেলা থেকে শুরু করে দূর দূরান্তের প্রান্তিক সর্বসাধারণ মানুষ নিরাপদ অবস্থান থেকে তাদের কিংবা তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া সব ধরণের সহিংস ঘটনাগুলো আমাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দলিলবদ্ধ/রিপোর্ট করতে পারেন। যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা নিয়ে গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে এই দলিলবদ্ধকরণ আইসিএসএফ তার কর্তব্য বলে মনে করে। এই উদ্যোগে আমাদের সহযোগী অংশীদার হিসেবে রয়েছে দেশ ও বিদেশের অনেকগুলো সেক্যুলার ও মানবাধিকার সংগঠন, যাদের নাম অনুকূল এবং নিরাপদ পরিস্থিতিতে প্রকাশ করা হবে।
‘বাংলাদেশ কনফ্লিক্ট ডট ওয়াচ’ প্ল্যাটফর্মে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত সংঘাতমূলক ঘটনার তথ্য ও সাক্ষ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, এবং ডেটা আকারে সংরক্ষণ করছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো এই তথ্যের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সংঘাত প্রতিরোধের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করা।
আপনার এলাকায় যদি কোনো সংঘাত, সহিংসতা, সামাজিক অস্থিরতা বা রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে দয়া করে আমাদের সাথে সেই ঘটনাগুলোর তথ্য শেয়ার করুন। আপনি এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজের বা অন্যদের অভিজ্ঞতা জমা দিতে পারেন যা আমাদের গবেষণায় সহায়ক হবে এবং একটি সহনশীল সমাজ গঠনে অবদান রাখবে।
আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে মূল্যবান। আপনার প্রদত্ত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে এবং এটি গবেষণা ও নীতিমালা তৈরিতেও ব্যবহার করা হবে।
এই ওয়েবসাইটটি মাধ্যমে আপনার ভাষ্য/বিবরণী/তথ্য/সাক্ষ্য জমা দিন, এবং আপনার পরিচিত ও ভুক্তভোগী অন্যদেরও অনুরোধ করুন তাদের সাক্ষ্য জমা দিতে—
উদ্যোগটির খবর ছড়িয়ে দিন। এখনই অংশ নিন এবং একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের নির্মাণে আপনার অবদান রাখুন!
ধন্যবাদ।