[PDF Download link: English | Bengali ]
*** Constitutional recognition of genocide perpetrated during 1971 in Bangladesh
*** Making “Global Recognition of Bangladesh Genocide” an inseparable part of foreign policy
*** Expressing the lessons learned from previous genocides in conducting state affairs
Maintaining a global connection amongst the pro-liberation individuals and organisations is a significant part of International Crimes Strategy Forum’s (ICSF) line of work. ICSF believes Bengali Diaspora residing all over the world can be a formidable force in terms of securing the global recognition of genocide perpetrated in Bangladesh during 1971. Recently, ICSF, along with members of Australian Bangladeshi diaspora, arranged a program to commemorate 50th anniversary of 1971 Bangladesh genocide as well as the country’s independence.
As part of a series of events, ICSF and members of Australian Bangladeshi Diaspora arranged an online discussion programme titled “Global Recognition of 1971 Bangladesh Genocide” on 25th March, the date which has been declared “Bengali Genocide Remembrance Day” by the government. Viewers from at least 26 cities of Bangladesh, Australia, UK, USA, Canada, Malaysia, South Korea, and Japan logged in to participate in the program. The discussion program started at 4 PM Bangladesh time and was broadcasted live through facebook, YouTube, and Twitter.
Columnist Dr. Ezaz Mamun from Canberra inaugurated the discussion with his welcome speech. He provided the historical context of 1971 Bangladesh Genocide and its global recognition. It was followed by one-minute silence in remembrance of the victims of genocide, and then a critically acclaimed documentary titled “Creed for Justice” was played. At this point the main discussion began where discussants talked about various dimensions of global recognition of Bangladesh Genocide. Former Chair of Bangladesh Human Rights Commission Prof. Mizanur Rahman moderated the discussion.
At the beginning of the discussion, trustee of ICSF Dr. Rayhan Rashid, expounded on organisational stance on global recognition of Bangladesh genocide. On behalf of ICSF, three specific recommendations were made to the government of Bangladesh: One, genocide perpetrated during 1971 needs to be included in the Constitution of Bangladesh to secure its constitutional recognition; Two, “Global Recognition of Bangladesh Genocide” should be treated as an integral part of Bangladesh’s foreign policy; and three, there should be reflections of the lessons learned from past genocides in conducting state affairs.
In her statement, in reference to ICSF’s first recommendation, Honourable member of Parliament Shirin Akhter acknowledged that the parliamentary resolution taken on 2017 on ‘Genocide Remembrance Day’ is legally non-binding. This is why she promised to discuss with the Prime Minister the point of including the matter of 1971 genocide into the constitution. She also expressed her willingness and resoluteness to work toward global recognition of the Bangladesh genocide along with her like-minded parliamentary colleagues.
Member of Bangladesh Human Rights Commission Dr. Nomita Halder commented that genocide is the highest form of Human Rights violation. She also promised to ask the government through BHRC to get further involved in the work of securing global recognition of 1971 Bangladesh Genocide.
In response to questions/points raised on behalf of ICSF, the High Commissioner of Bangladesh in Australia reassured that Bangladesh Foreign Ministry will certainly work with the diaspora to secure the global recognition of Bangladesh genocide. He further mentioned that all the diplomatic missions of Bangladesh around the globe can work in tandem and utilize their networks to further the cause of this global recognition of Bangladesh genocide.
Professor Emeritus of Macquarie University echoed ICSF’s proposal in saying that it is especially important for the issue of global recognition of Bangladesh genocide to become a part of Bangladesh’s foreign policy. He also stressed the importance of quality academic research work on Bangladesh genocide.
Another trustee of ICSF, Dr. Ahmed Ziauddin said that to secure global recognition, we will have to talk about our own genocide, do our own research, and continue the movement. No one else will do it for us.
Among the members of the Bangladeshi Australian diaspora, Mr. Lilac Shahid, Dr. Kamal Udddin, Dr. Abu Taher Mollick, and Mr. Ignatius Rozario also spoke during the discussion. The moderator took questions from Facebook, Zoom, and other social media platforms throughout the program and had relevant discussants respond to them.
After the discussion, moderator Prof. Mizanur Rahman provided a summary and said, “till now, 1971 Bangladesh genocide has failed to get recognition. We do not want to understand politics; we do not want to become a part of geopolitics and its myriad equations; we just want justice for the crime and savagery perpetrated on our people, on our country, on our motherland.”
Towards the very end, former faculty member at Queensland University Dr. Mohammad Alauddin thanked all the organisers, volunteers who worked behind the scenes, and all the people who actively asked questions and made comments. He also expressed his optimism as he concluded the program.
Apart from the discussion, ICSF arranged a couple of other events to commemorate 25th March: Genocide Remembrance Day. One of them was a call to don profile picture on social media platforms with hashtags #recognise1971genocide and #recognisebangladeshgenocide to bring people together to demand global recognition of Bangladesh genocide. The other one was a virtual candlelight vigil – a call to post a short video clip or a still of a candle at the first hour of 25th March to commemorate the genocide and show respect to the martyrs. Thousands of Bengalis responded to this call from all over the world.
International Crimes Strategy Forum (ICSF) is an independent global network of experts and activists operating in the interest of justice for the victims and a long-time campaigner for recognition of international crimes committed against the Bengali populace in 1971.
—BENGALI VERSION—-
বাংলাদেশ জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে আলোচনা এবং অন্যান্য কর্মসূচী
*** বাংলাদেশ সংবিধানে ১৯৭১ এর জেনোসাইডের সাংবিধানিক স্বীকৃতি
*** জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতি বিষয়টিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ করা
*** অতীতের জেনোসাইড থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় সে চেতনার প্রতিফলন ঘটানো
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিবর্গ এবং সংগঠনগুলোর সাথে বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং চিন্তা ও কার্যক্রমের পারস্পরিক আদান প্রদান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ)- এর কাজের ধারার অন্যতম একটি দিক। আইসিএসএফ মনে করে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালীরা ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি আইসিএসএফ এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং ১৯৭১ এর জেনোসাইডের ৫০ বছরকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়।
এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ২৫-শে মার্চ গণহত্যা দিবসে আইসিএসএফ এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের যৌথ উদ্যোগে “১৯৭১ এর বাংলাদেশ গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতি” শীর্ষক অনলাইন ভিত্তিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মালয়েশিয়া, দক্ষিন কোরিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের ২৬টি শহর থেকে অনুষ্ঠানটিতে অনলাইনে সামিল হন দর্শকরা।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় ফেসবুক, ইউটিউব, এবং টুইটারে সরাসরি সম্প্রচারকৃত অনুষ্ঠানটি স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচনা করেন ক্যানবেরা থেকে কলামিস্ট ড. এজাজ মামুন। তিনি ১৯৭১ এ সংঘটিত জেনোসাইডের ইতিহাস এবং এর বৈশ্বিক স্বীকৃতির পটভূমি তুলে ধরেন। এর পর ১৯৭১ এর জেনোসাইড স্মরণে সভার প্লাটফর্মে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়, যার পরপরই পরিবেশন করা হয় ১৯৭১ এর জেনোসাইডের ওপর আইসিএসএফ নির্মিত বহুল সমাদৃত তথ্যচিত্র “ক্রিড ফর জাস্টিস”। সভার এ পর্যায়ে এসে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমানের দক্ষ সঞ্চালনায় মূল আলোচনা শুরু হয় যেখানে নির্ধারিত আলোচকবৃন্দ জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে তাদের মতামত দেন।
আলোচনার শুরুতেই বাংলাদেশ জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে আইসিএসএফ এর দিক নির্দেশনামূলক অবস্থান তুলে ধরেন সংগঠনটির ট্রাস্টি ড. রায়হান রশিদ। আইসিএসএফ-এর অবস্থান থেকে সুপারিশ হিসেবে তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় — এক. ১৯৭১ এর জেনোসাইডের বিষয়টি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এর সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা; দুই. জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতির বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা; এবং তিন. অতীতের জেনোসাইড থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় সে চেতনার প্রতিফলন ঘটানো।
মাননীয় সাংসদ শিরিন আখতার তার বক্তব্যেও উল্লেখ করেন যে ২০১৭ সালের গণহত্যা দিবস বিষয়ে গৃহীত সংসদীয় প্রস্তাবটি কার্যত আইনগত অর্থে বাধ্যবাধকতাহীন। তাই, ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিষয়টিকে বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার লক্ষ্যে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসাথে, বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে সহকর্মী সাংসদদের সাথে নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সদস্য ড. নমিতা হালদার মন্তব্য করেন – গণহত্যা হল সর্বোচ্চ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে সরকারকে গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতির কর্মসূচীতে আরও সামিল হওয়ার অনুরোধ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার জনাব মোহাম্মদ সুফিউর রহমান আইসিএসএফ-এর পক্ষ থেকে উত্থাপিত সুনির্দিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তরে আশ্বাস দেন – বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে জেনোসাইডের স্বীকৃতি বিষয়ে কাজ করে যাবে। তিনি আরও বলেন, সকল কূটনৈতিক চ্যানেলে ও বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তারা তাদের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ে সচেষ্ট হতে পারে।
ম্যাককোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম আইসিএসএফ এর প্রস্তাবেরই প্রতিধ্বনি করে বলেন যে – জেনোসাইড এর স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র নীতির অংশ হয়ে ওঠাটা অত্যন্ত জরুরী। সেই সাথে বাংলাদেশের জেনোসাইড নিয়ে মানসম্মত একাডেমিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
আইসিএসএফ-এর আরেক ট্রাস্টি ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন মন্তব্য করেন – আমাদের জেনোসাইড নিয়ে আমাদেরই আলোচনা করতে হবে, গবেষণা করতে হবে, এবং এ নিয়ে বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। অন্য কেউ সেটা করে দেবে না।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্য থেকে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জনাব লাইলাক শহীদ, ড. কামাল উদ্দিন, ড. আবু তাহের মল্লিক, এবং জনাব ইগনাতিয়াস রোজারিও। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই ফেসবুক, জুম, এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রশ্ন এবং মন্তব্য সংগ্রহ করে সভার আলোচকদের কাছে তুলে ধরেন সভার সঞ্চালক।
প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে আলোচনার সারাংশ তুলে ধরে সঞ্চালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান মন্তব্য করেন – “১৯৭১ এ বাংলাদেশের যে জেনোসাইড তা আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা রাজনীতি বুঝতে চাই না, আমরা ভূ-রাজনীতির (নানান সমীকরণের) অংশ হতে চাই না। আমাদের জনগণের উপরে, আমাদের দেশের উপরে, আমাদের মাতৃভূমির উপরে যে অপরাধ এবং বর্বরতা সংঘটিত হয়েছে, তার বিচার আমরা দেখতে চাই।”
সবশেষে, অনুষ্ঠানটির আয়োজকদের, নেপথ্যের সকল সহায়তাকারীদের, এবং সকল প্রশ্ন ও মন্তব্যকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার পাশাপাশি সমাপনী বক্তব্যে নিজের গভীর আশাবাদ ব্যক্ত করে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান ছাড়াও, জেনোসাইড দিবস ২৫শে মার্চকে সামনে রেখে আইসিএসএফ-এর পক্ষ থেকে আরও কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এর একটি ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #recognise1971genocide এবং #recognisebangladeshgenocide হ্যাশট্যাগ যুক্ত করে ফেইসবুক প্রোফাইল-ছবি ফ্রেমবন্দী করার মাধ্যমে বিশ্বের সকল বাংলাদেশীকে জেনোসাইড স্বীকৃতির দাবীতে একত্রিত হওয়ার আহ্বান। সেই সাথে অপর কর্মসূচী ছিল ১৯৭১ এর শহীদদের স্মরণে এবং জেনোসাইড এর স্বীকৃতির দাবীতে সংহতির প্রকাশ হিসেবে নিজ নিজ টাইমজোন অনুযায়ী ২৫শে মার্চের প্রথম প্রহরে একটি প্রদীপ বা মোমবাতি প্রজ্জলন করে তার স্থিরচিত্র বা ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান। আইসিএসএফ-এর এই আহ্বানে ব্যাপক সাড়া দেন দেশে এবং বিদেশে ছড়িয়ে থাকা শত সহস্র বাঙ্গালীরা।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) আন্তর্জাতিক অপরাধের ভিকটিমদের পক্ষে কর্মরত বিশেষজ্ঞ এবং কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত স্বাধীন বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক, যা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সংগঠিত জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।