[PDF Download link: English | Bengali ]

International Crimes Strategy Forum (ICSF) is an independent global network of experts and activists working in the interest of justice for the victims of international crimes, and has long campaigned for the recognition of the Bangladesh Genocide. ICSF firmly believes that preserving important sites relating to the Liberation War of 1971, such as sites of mass graves, and properly investing in their development and maintenance is crucial not only for keeping the memories alive and imparting the lessons of past genocide to future generations, but also for achieving global recognition of the Bangladesh genocide. It recently made this point specifically in its briefing on the occasion of the first Genocide Day on 25 March titled: “Roadmap for ’71 Genocide Recognition: 7-Prong Strategy for Bangladesh Government” (see http://icsforum.org/820).

It is thus, with much concern that we have noticed some recent media reports about the state of disrepair or otherwise negligence in preserving some of the most important symbols of our liberation history. We came to know that about 50 mass graves of the Liberation War martyrs in different areas of Naogaon district have been facing negligence for a long time (Financial Express, 29 March 2017). Another such report concerned the sale of a land in Ranishongkoil, Khuniadighi in Thakurgaon district which contains a mass grave where many freedom fighters and supporters of the Liberation War were regularly killed and disposed of by the Pakistani Army and their local collaborators during 1971 (Thakurgaoer Khobor, 20 March 2017).

Such developments are being reported in the backdrop of the news that the Ministry of Liberation War Affairs of the Government of Bangladesh is undertaking a TK 182 Crores project for preserving 360 important historical sites related to the Liberation War by June 2019 in order to enable future generations to know about our liberation struggles (Jugantor, 21 March 2017). This is indeed a much needed overdue step in the right direction for which the Government deserves a note of thanks.

However, with the Government prioritising preservation of historical sites related to the Liberation War, it is particularly disheartening to see that some of the most important of such sites, the mass graves, are falling into disrepair or being sold like any ordinary piece of land.

ICSF therefore calls upon the Ministry of Liberation War Affairs in particular, and the Government of Bangladesh in general, to take immediate steps to identify and preserve all mass graves across the country. We cannot afford for even a single such site to fall into disrepair or being lost. These sites not only carry historical value, but are living testaments to the appalling crimes Bengalis were subjected to in 1971.

—–Bengali version——-

১৯৭১ এর সকল গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ: সরকারের প্রতি আইসিএসএফ-এর জরুরী আহ্বান

আন্তর্জাতিক অপরাধের ভিকটিমদের পক্ষে কর্মরত বিশেষজ্ঞ এবং কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্রাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) একটি স্বাধীন বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক যা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। আইসিএসএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা এবং গণহত্যার শিক্ষা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোর জন্যেই নয়, বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলা এবং এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্যেও মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ (যেমন: গণকবর, বধ্যভূমি) সংরক্ষণ এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরী। সম্প্রতি ২৫শে মার্চ, প্রথম গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে “গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির রোডম্যাপ: সরকারের প্রতি আইসিএসএফ এর ৭-দফা প্রস্তাব” শীর্ষক আইসিএসএফ ব্রিফিংয়ে সুনির্দিষ্টভাবে এই বিষয় তুলে ধরা হয়। (দেখুন: http://icsforum.org/820).

সম্প্রতি কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে আমরা লক্ষ্য করেছি মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিদর্শন কীভাবে অবহেলায় কিংবা ভগ্নদশায় রয়েছে। যেমন: পত্রিকা থেকে আমরা জানতে পেরেছি নওগাঁ জেলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০ টির মতো মুক্তিযুদ্ধ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে অবহেলিত অবস্থায় (ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ২৯ মার্চ ২০১৭)।একইধরনের আরেকটি উদ্বেগজনক খবরে জানা যাচ্ছে যে ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল, খুনিয়াদীঘির একটি বধ্যভূমি সম্প্রতি বিক্রি হয়ে গেছে, যেখানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের স্থানীয় সহযোগীরা নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষদের হত্যা করে ফেলে রেখে যেতো ।

পাশাপাশি ইতিবাচক পদক্ষেপের ভিন্ন আরেকটি চিত্রও বিদ্যমান। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত ৩৬০টি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণার্থে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে ১৮২ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে (যুগান্তর, ২১শে মার্চ ২০১৭)। সরকারের পক্ষ থেকে এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যার জন্য সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে আইসিএসএফ।

ঠিক একারণেই সরকারের দিক থেকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানের সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয়া স্বত্বেও অন্যত্র বধ্যভূমির মতো ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর ভগ্নদশা, অবহেলা, কিংবা আর সব সাধারণ স্থাবর সম্পত্তির মতো ক্রয়-বিক্রয় হতে দেখা বিশেষভাবে দুঃখজনক।

এ পরিস্থিতিতে আইসিএসএফ সরকার এবং বিশেষত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এবং আবেদন জানাচ্ছে অবিলম্বে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হোক।